Monday, December 25, 2017
দেখুন বড় ভাই বিদেশ থাকাই ভাবি ছোট দেবরের সাথে যা করলো ছি ছি ছি সত্যি অব...
https://youtu.be/SsqzGXNOwXA
https://youtu.be/SsqzGXNOwXA
চুদার নিয়ম | Fatafati408's Blog | Page 4
sfatafati408wordpressauthorfatafati408page4
সত্যি তো বড় হয়ে যদি খোকাই জানতে পারে যে ওর মা দুঃশ্চারিত্রা ছিল তাহলে ওর ব্যক্তিত্ব গঠনেও এর প্রভাব পড়বে। স্কুল কলেজের বন্ধুরা ওর সাথে মিশবে না বা ওকে রাগাবে। ফলে ও নিজে থেকেই বাইরে বেরোতে চাইবে না ঘরকুনো হয়ে যাবে। ওর মায়ের নামে ভুলভাল বলবে। যা হয়ে গেছে সেটা ফেরত আনতে পারবে না। প্রথম থেকেই ওর সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। রমনা ভেবেছে ওর থেকে আট দশ বছরের ছোট একটা ছেলের সাথে ও কিভাবে এই রকম একটা শরীর সর্বস্ব সম্পর্কে জড়াবে। ওর মনে হয় পৃথিবীতে ধোনগুদের সম্পর্ক সব থেকে বেশি জটিল আর শক্তিশালী। বৌএর জন্যে মা বাবাকে ভুলে যায় অনেকে। ব্যতিক্রম নেই যে তা নয় কিন্তু বেশির ভাগ পুরুষ এটা করে থাকে। ভাইভাইএ ঝগড়া। ভাই বোনে মনোমালিন্য। বউএর সাথে ঝগড়া হলেও
মা হওয়া ২ প্রথম তিন মাস | সন্ধ্যাবাতি
shondhabatiblogspot201305blogposthtml
Translate this page
May 20 2013 ওদের ছোট শরীরে অনেক ঘুম দরকার হয়। এর বেশি যদি সজাগ রাখা হয় তাহলে ওভারটায়ার্ড হয়ে যায়। আমরা যেমন খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে গেলে অনেক সময় বিছানায় এপাশ ওপাশ করে আর ঘুমাতে পারি না ওদেরও তাই হয়। তখন আর কিছুতেই ঘুমাতে পারে না। ওভারটায়ার্ড অবস্থায় আর কিছুই ভালো লাগে না খাওয়া ভালো না কোন কথা ভালো লাগে না। কান্না একবার বাচ্চাকে রাত জেগে দুধ খাওয়ানো চাকরি ঘরের কাজ পিএইচডির থিসিস লেখা একটা সময়ে আমি সব এক সাথে করেছি তাই জানি বাচ্চারা স্বার্থপর বুঝতে পারে না মায়ের কখন আর চলার মত একটুও শক্তি নাই বা তখনি হাতের কাজটা সারা দরকার। চতুর্থত কোন শিক্ষামূলক এপ ইন্সটল করে দেই নি শুধু ছবি আকার জন্য ডুডলের মত একটা এপ দিয়েছি।
পাছার খাজে | শাড়ী পরা পাছা | পাতা 5 WordPress
sujjalsmewordpresspage5
কিছুক্ষন নিরব থেকে বলে উঠল তোমার ভাইকে কোলে নিয়ে আমার হাতে ব্যাথা করছে এই দেখ বলে ডান হাতে কে লম্বা করে বের করে আমায় দেখাতে লাগল আর সে ফাকে তার কনুইটা আম ার বাম দুধের সাথে লাগিয়ে একটা মৃদু চাপ দিল আমার কোন আপত্তি না দেখে মিছামি ছি তার বাম হাত দিয়ে ডান হাতকে টিপছে আর ডান হাতের কনুই দিয়ে আমার দুধের উপর চাপ দিয়ে কাদো কাদো গলায় বলল আমার ছোট ভায়ের মৃত্যু আমি দেখলাম না কি দুর্ভাগ্য আমার একটা বড় নিশ্বাস ফেলে চুপ হয়ে রইল বাবা স্বাভাবিক ভাবে আবার জিজ্ঞেস করল তোর পাক সাক করে কে? একটা চল্লিশোর্ধ বয়সের কাজে মেয়ে লোক আছে সম্পর্কে আমার ভাবী হয় সকালে এসে সারাদিন পাক সাক করার পাশাপাশি যাবতীয় কাজ করে রাত্র খেয়ে দেয়ে চলে যায়।
মা থেকে মাগী | Bangla Choti
choti201blogspot201212blogposthtml
Dec 25 2012 রোজ রাতে দাদাকে নিজের ঘরে নিয়ে এসে মা চোদনলীলা শুরু করলো জোড় তালে আমার বাবাও মাকে নিয়ে বোধ হয় এত চোদাচুদি করেনি দাদাকে নিয়ে মা যা শুরু করলো। রাতে দেখতাম ৯টা না বাজতেই আমার খাবার বেড়ে দিয়ে দাদা ঘরে ঢুকে আমার মায়ের আরও কিছু ল্যাঙটো হয়ে ফ্যান্দা মেখে পড়ে থাকা ছবি তুলে রাখল কামেরায়। মায়ের হাত দুটো বিভিন্ন পোজে রেখে পুরো মাআমি তোর বাঁড়া দেখেছি রে বেশ বড় আর মোটা তোর দাদার যে বাঁড়াটা দেখে লোভ হয়েছিলো বলে ওকে দিয়ে চোদাতে শুরু করেছিলাম ৪ বছর আগে সেটাও এত বড় আর মোটা ছিল না রে তুই আমায় চুদতে থাক মাগির গুদের জ্বালা জুড়োবার পদ্ধতি তোকে আমি শিখিয়ে দেবো। ব্যস শুরু হয়ে গেলো মায়ের কোম্পানির বেশ্যা
মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ্ সা | Shibir Online Library
sicsbookinfo408shibir?singlepage=1
Jan 11 2014 এর কাল্পনিক ছবি অনেক বানানো হয়েছে। কিন্তু এমন শিল্পী কে আছে যে রসূল সা এর চিন্তা ও কর্মের প্রতিটি দিকের সূক্ষ্ণ ব্যাপক ও পূর্ণাংগ ধারণা রাখে এবং সেই ধারণাকে রংতুলি দিয়ে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে? কাল্পনিক ছবি আর যারই হোক মুহাম্মদ সা এর নয়। কোন অনুমান সর্বস্ব ব্যক্তিত্বের ছবি বানিয়ে তাকে রসূল সা তাঁর ভাই রসূল সা সাথে সাক্ষাত করলেন তাঁর কুরআন তেলাওয়াত শুনলেন এবং ফিরে গিয়ে ভাইকে বললেন 'আমি এই দাওয়াত দাতাকে দেখে এসেছি।লোকেরা তাকে ধর্মত্যাগী [বিকৃত সমাজ ব্যবস্হার বিচিত্র রূপ দেখুন।যে ব্যক্তি সারা দুনিয়ার মানুষকে ঈমানের শিক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনিই নাকি ধর্মচ্যুত! সকল যুগের ধর্ম ব্যবসায়ীরাই এ ধরনের ফতোয়া
Jibon Asadujjaman | Facebook
sfacebookmdjibon68 Translate this page
আমার বসার ঘরের দেয়ালে আমার মায়ের ছবি টাঙানো আছে কারণ তিনিই আমার কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এলেন ডি ইবনে সৌদ সৌদি আরবের কামাল পাশা তুর্কি জাতির অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইবনে সিনা চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক; এর মানে এই না— সকল সৌদির মা ইবনে সৌদের সাথে শুয়েছেন সকল তুর্কির মা কামাল পাশার শয্যাসঙ্গী হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সকল শিক্ষার্থীর মা অ্যারিস্টটলের সাথে কিংবা সকল চিকিৎসকের মা ইবনে সিনার সাথে শুয়েছেন! এই পিতৃত্ব তখন শাহবাগ হোটেল আজকে যেটা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমার মা মাঝে মাঝে আমাকে পাঠাতেন যে যা একটু নেতারা আসছেন তাদের স্ত্রীরা আসছেন তাদের খোঁজখবর নিয়ে আয় আমার সঙ্গে কে কে আছে দেখে আয়। মানে একটু
Bangla Choti 24 বয়সে বড় মেয়ে সিলভী আপু
chotigolpooblogspot201304blogposthtml
Translate this page
Apr 10 2013 অথচ বেশীরভাগ মেয়েরাই জিনিশটা জানে না বা জানলেও বিশ্বাস করতে চায় না। ইউনিতে থাকতে আমি ক্লাসমেটদের অনেককেই বলেছি জানিস তোদের যে সব ছোট ভাগ্নে ভাতিজা আছে ওরা তোদেরকে ভেবে ট্যাংক খালি করে। সিলভী আপু যখন আমাদের এখানে ফ্ল্যাট ভাড়া নিল সেসময় আমি মাত্র নাইনে উঠেছি। ওনার বাবা আব্বার সাথে পরিচিত। সিলভী আপু ইউএন এ কিসে সত্যি বলছি ইউ উইল হ্যাভ গুড টাইম দেন ওনার বেড রুমে নিয়ে এসে একটা বড় ভল্ট খুললেন। সারি সারি করে রাখা জিনিশপত্র। একটা বড় নকশা করা ঢাল। আমি বললাম এটা কিসের? এটা? মাসাইদের ঢাল। আমরা কেনিয়াতে ছিলাম দুবছর তখন কিনেছি উনি ছোট ছোট কাঠের পুতুলের মত নামিয়ে বললেন এগুলোও কেনিয়া থেকে কেনিয়াতে বেশীদিন ছিলেন
পরীর স্বপ্ন | Writer Zillur
writerzillur › উপন্যাস
Translate this page
Feb 27 2015 মালা জিজ্ঞেস করলো তো? মেয়েটি শুষ্ক হাসি হেসে বললো বিয়ে দিবে বিয়ে। বিয়ের কথা শুনেই মালা যেন চমকে উঠলো বিয়ে! মেয়েটি মাথা একবার উঁচু একবার নিচু করে জানালো তাকে বিয়ে দিবে। তারমানে তোর আর লেখাপড়া করা হচ্ছে না? বাবামা'র সেরকমই ইচ্ছা। একটা ছেলে স্কুল যাওয়াআসার পথে তোকে প্রেমের প্রস্তাব দিলো আর তোর স্কুল শুরু করলো। অটো রিক্শা নিয়ে বাড়িতে আসার সময় বাজারের বড় ব্যাগ নিয়ে এসে ধপাস করে রেখেই বাইরে চলে যেতো। ফিরে আসতো গভীর রাতে। রান্নার সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়েই বাড়িতে রাগারাগি করতো। শাপলা কিছু বললে আরো প্রচণ্ড রেগে যেতো। রেগে গেলে তার আর হিতাহিত জ্ঞান থাকতো না। ছোটখাটো কারণে শাপলার গায়ে হাত তুলতো।
নারীকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে যে ৭ টি বৈশিষ্ট্য sarabangla24
sarabangla24frontnews_details5311sarabangla
৬) অনেকে ভাবেন নারীদের মাথায় একটু কম বুদ্ধি থাকাই ভালো। কিন্তু যুগের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মন অনেকাংশে। নারীর বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে নারীকে। ৭) আত্মবিশ্বাসী মানুষ সকলের কাছেই বেশ পছন্দের। তেমনই এটি নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার অন্যতম প্রধান একটি হাতিয়ার। আত্মবিশ্বাসী মানুষ সবসময়েই সকলের
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)
muktijotorgproclaimphp
বলাবাহুল্য এই ঐকিক নিয়মের সহজ সুরাহাই বড় কঠিন আর অসম্ভব হয়ে দেখা দিয়েছে । অর্থাৎ যন্ত্রের অভিঘাত ভূমিজ সীমানা মানে না বলেই যেমন ফরাসী বিপ্লব বা রেনেসাঁ অর্থাৎ যুগান্তকারী গণবিক্ষোভ বা গণজাগরণগুলি লাগোয়া দেশগুলিতে প্রায় একই সময়ে ঘটতে দেখা গেছে তেমনি অতীতে লাগোয়ো দেশগুলির ক্ষেত্রে যা সত্যি এখন সারা বিশ্বের ক্ষেত্রে তা সত্যি । গ্রামের এপ্রান্ত বিদেশের মাটিতেই প্রথম প্রয়োজন হয়েছিলো দেশের পরিচয় বহির্বিশ্বের চোখে এভাবে নিজের দেশমাতৃকার ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিলাম সে মায়ের মালিন্য মাখা মুখ সকরুণ চেহারা তাঁর সন্তান হিসেবে নিজেদের ভিখিরীবেগারস্মিসকিন বলে মূল্যায়িত পরিচয়ে কাঁপিয়ে তুলেছিল আমাদের জন্মগত নাগরিক সত্তাকে ।আসো সবাই নিজ নিজ মা বোনকে চুদি | মা বোনকে চোদা সব ছেলেরই কর্তব্য। যারা
sarchiveisf65qP
আম্মু উপুড় হয়ে পাছা উচু করলো। পাছার ফুটো দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে। আমি আম্মুর উপরে ঝুকে পড়ে দুই হাত দিয়ে আম্মুর দুই দুধ খামছে ধরে কুকুরের মতো আম্মুর পাছা চুদতে আরম্ভ করলাম। এভাবে আরো ১৫ মিনিট পাছা চোদার পর আমার সময় হয়ে গেলো। আমি ঠাপানোর গতি বাড়িয়ে দিলাম। আম্মু দেহের ভার ছেড়ে দিয়েছে আমি দুই হাত দিয়ে আম্মুকে ধরে “তোর যা ইচ্ছা হয় তুই কর। আমি কিছুতেই তোর সামনে পায়খানা করবো না।” আমি এবার অন্য রাস্তা ধরলাম। আম্মুর পাছার ভিতরে তিনটা আঙ্গুল এক সাথে ঢুকাতে থাকলাম। টাইট পাছায় একটা আঙ্গুলই ঢুকতে চায়না তিন আঙ্গুল কি এতো সহজে ঢুকে। ঠেসে ঠেসে অর্ধেকের মতো ঢুকিয়ে তিন আঙ্গুল দিয়ে পাছার ভিতরের মাংস খামছে ধরলাম। “ইসস্………* মাগো শুভ
সাঈম চৌধুরীর গল্প November 2010
sayeemgolpoblogspot201011
Translate this page
Nov 5 2010 পুত্রবধূর মমতার স্বপ্নে বিভোর দু'জনে একই সুরে কথা বলেন। বউ তাদের চাই। তারা অবশ্য একটা স্বাধীনতা দিয়েছেন। যদি আমার পছন্দের কেউ তাকে তবে তাদের আপত্তি নেই। মনে মনে ভাবি আমার কি পছন্দের কেউ আছে? কেনো জানি না হঠাৎ রূপালীর কথা মনে হয়। রূপালী আমাদের প্রতিবেশি। বয়েসে আমার চাইতে বছর তিনেকের ছোট। তার এসএসসি পরীার সময় কিছুদিন এক সময় ভারমুক্ত হন। নীরবঘুমন্ত পানিতে হঠাৎ ঝুপ করে বেশ বড় ধরনের একটা শব্দ হয়। আবার ধীর পায়ে ঘরে ফিরে আসেন মেহরাজুল ইসলাম। চমকে উঠেন। দরজায় দাঁড়িয়ে আছে রাঙা এবং রঙিলা। রঙিলা বুঝে এবং জেনে গেছে তার তির সংবাদ। রঙিলা কাঁদে। রঙিলার চোখে একই সাথে জল আর বিস্ময়। বাবা এমন কাণ্ড করতে পারেন এটি তার ধারণার
Saturday, December 23, 2017
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার শর্ত দিয়ে উকিল নোটিশ পাঠালেন খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খালেদার জিয়ার উকিল নোটিশ দেওয়া ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।’ আজ শনিবার সকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। উকিল নোটিশের জবাব দেওয়া হবে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উকিল নোটিশ উকিলই দেখবেন। জবাব যথাযথ আইনগতভাবেই দেওয়া হবে।’ সৌদি আরবে খালেদা জিয়া পরিবারের সম্পদের তথ্য প্রমাণ করা যাবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদিতে খালেদা জিয়ার অবৈধ সম্পদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, নিশ্চয়ই তার পেছনে যথেষ্ট তথ্য আছে এবং সেটা প্রমাণ করা যাবে।’ দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠানে সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম শাহি আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
গতকাল বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে’ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
৭ ডিসেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিএনপি নেত্রীর সম্পদের খবর নিয়ে কথা বলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্ষমা প্রার্থনার’ আহ্বান রেখে বলেছিলেন অন্যথায় তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর ১১ দিন পর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই উকিল নোটিশ পাঠানো হলো।
খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন ১৯ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে (উইথ এ/ডি) এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই উকিল নোটিশটি পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। নোটিশটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়।
নোটিশের বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রদের সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছেন তা সাজানো, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিদ্বেষমূলক। বাংলাদেশে নির্দোষ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিসম্পন্ন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীনউদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আপনি এসব অভিযোগ এনেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) দায়ী। এই নোটিশের মাধ্যমে আমরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়ার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অ্যাডভোকেট খোকন তার নোটিশে বলেন, ‘এই ক্ষমা অত্র আইনি নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র এবং সামাজিক মাধ্যমের আউটলেটে যথাযথভাবে প্রকাশ ও প্রচার করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিদ্বেষপূর্ণ, মানহানিকর এবং কপট ও কুটিল বিবৃতির কারণে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ(ফধসধমবং) আদায়ের নিমিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের ওপরে নির্দেশ রয়েছে।’
খোকনের পাঠানো উকিল নোটিশে বলা হয়, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) অপবাদমূলক দীর্ঘ বিবৃতি পরিকল্পিতভাবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এবং আপনার নিজের রাজনৈতিক সুবিধা লাভের হীনউদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। আপনার এই বেপরোয়া ও বিদ্বেষপূর্ণ কদুক্তি একাধারে পরনিন্দা, অপবাদ, গ্লানিপূর্ণ ও মানহানিকর যা বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সুনাম সন্মান, সততা এবং মর্যাদাকে বিনষ্ট করার এবং দেশে ও বিদেশে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খাটো করার হীনউদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।’
উকিল নোটিশে খালেদা জিয়ার ঠিকানা দেয়া হয়েছে সড়ক নং-৮৬, বাড়ি নং ৬, গুলশান-২।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ করেছেন এর কোনো সত্যতা নেই, কোনো অস্তিত্বই নেই। আজকে একটা নোটিশ দেয়া হয়েছে, তার কথাটি আমরা জানালাম।
সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, আবদুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা সাম্প্রতিক বক্তব্যের জের ধরে এই উকিল নোটিশ পাঠানো হয় ।
গতকাল বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে’ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
৭ ডিসেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিএনপি নেত্রীর সম্পদের খবর নিয়ে কথা বলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্ষমা প্রার্থনার’ আহ্বান রেখে বলেছিলেন অন্যথায় তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর ১১ দিন পর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই উকিল নোটিশ পাঠানো হলো।
খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন ১৯ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে (উইথ এ/ডি) এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই উকিল নোটিশটি পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। নোটিশটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়।
নোটিশের বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রদের সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছেন তা সাজানো, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিদ্বেষমূলক। বাংলাদেশে নির্দোষ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিসম্পন্ন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীনউদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আপনি এসব অভিযোগ এনেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) দায়ী। এই নোটিশের মাধ্যমে আমরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়ার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অ্যাডভোকেট খোকন তার নোটিশে বলেন, ‘এই ক্ষমা অত্র আইনি নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র এবং সামাজিক মাধ্যমের আউটলেটে যথাযথভাবে প্রকাশ ও প্রচার করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিদ্বেষপূর্ণ, মানহানিকর এবং কপট ও কুটিল বিবৃতির কারণে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ(ফধসধমবং) আদায়ের নিমিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের ওপরে নির্দেশ রয়েছে।’
খোকনের পাঠানো উকিল নোটিশে বলা হয়, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) অপবাদমূলক দীর্ঘ বিবৃতি পরিকল্পিতভাবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এবং আপনার নিজের রাজনৈতিক সুবিধা লাভের হীনউদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। আপনার এই বেপরোয়া ও বিদ্বেষপূর্ণ কদুক্তি একাধারে পরনিন্দা, অপবাদ, গ্লানিপূর্ণ ও মানহানিকর যা বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সুনাম সন্মান, সততা এবং মর্যাদাকে বিনষ্ট করার এবং দেশে ও বিদেশে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খাটো করার হীনউদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।’
উকিল নোটিশে খালেদা জিয়ার ঠিকানা দেয়া হয়েছে সড়ক নং-৮৬, বাড়ি নং ৬, গুলশান-২।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় বিচারের মুখে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সৌদি আরবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ করেছেন এর কোনো সত্যতা নেই, কোনো অস্তিত্বই নেই। আজকে একটা নোটিশ দেয়া হয়েছে, তার কথাটি আমরা জানালাম।
সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, আবদুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা সাম্প্রতিক বক্তব্যের জের ধরে এই উকিল নোটিশ পাঠানো হয় ।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন ১৯শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার এই নোটিশ পাঠান বলে বুধবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
সৌদি আরবে বিপুল সম্পদ পাচারের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের নাম উঠে আসার খবর সম্প্রতি বিদেশী গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এরপর কম্বোডিয়া সফর শেষে ফিরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক এই প্রসঙ্গটি তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কথা বলেন।
এ সংক্রান্ত খবর দেশের আরও অনেক সংবাদ মাধ্যমে না আসায় তিনি গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মালিক-সম্পাদক, সাংবাদিকরা কোনও সুবিধার বিনিময়ে এ ধরনের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থেকেছেন কি-না সে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, ওই বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং তা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তা করা না হলেও ক্ষতিপূরণের মামলা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমার সোনার বাংলা ভিডিও | Amar Sonar Bangla Video
আমার সোনার বাংলা
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশী।।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে--
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে--
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।।
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশী।।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে--
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।।
জী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো--
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে--
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।।
chik link===>>https://www.youtube.com/watch?v=I0FhM36XTfQ
TRANSLITERATION
Amar shonar Bangla, Ami tomay bhalobashi.
Chirodin tomar akash,Tomar batash,Amar prane bajae bãshi.
O ma,Phagune tor amer bone Ghrane pagol kôre,
Mori hae, hae re...
O ma, Ôghrane tor bhôra khete Ami ki dekhechhi modhur hashi..
Ki shobha, ki chhaea go, Ki sneho, ki maea go..
Ki ãchol bichhaeechho Bôţer mule, Nodir kule kule!
Ma, Tôr mukher bani Amar kane lage Shudhar moto,
Môri haey, haey re..
Ma tor bodon khani molin hole, O ma, Ami nôyôn jôle bhãshi..!
TRANSLATION
My Bengal of Gold, I love you.
Forever your skies,Your air set my heart in tune As if it were a flute.
In spring, O mother mine, The fragrance from your mango groves
Makes me wild with joy,
Ah, what a thrill!
In autumn, O mother mine,
In the full blossomed paddy fields
I have seen spread all over sweet smiles.
Ah, what beauty, what shades, What an affection, and what tenderness!
What a quilt have you spread At the feet of banyan trees, And along the banks of rivers!
O mother mine, words from your mouth Are like nectar to my ears.
Ah, what a thrill!
O mother mine, If sadness, Casts a gloom on your face, My eyes are filled with tears!
Wednesday, December 20, 2017
আমরা কি পারিনা, এই সকল রাস্তায় ঘুরে... ||- JM Tv(240p)
ভালোবাসলে কি সত্যিই নিজের পছন্দের আর ভালো লাগার জায়গায় ভাটা পরে? কখনোই না। তাহলে সেই সম্পর্কে মনের মিল নেই।আর এমন সম্পর্কে ভাটা পরে চোখের পলকে। তারপর এক সময় ... ধীরে ধীরে একসময় এই মায়ার জাল বন্ধুত্ব থেকে সৃষ্টি হওয়া প্রেমের সম্পর্কটাকেও বিষিয়ে তোলে যার শেষ হয় ঘৃণা আর বিদ্বেষ দিয়ে। আর এভাবে অপমৃত্যু ঘটে ... আমরা যে কেউ যেকোনো সময় কাওকে ভালোবাসতে পারি কিন্তু একবার ভেবে দেখা উচিত যাতে আবেগের অবক্ষয় না হয়, যাতে মোহগ্রস্ত হয়ে নিজেকে গভীর সমুদ্রে হারিয়ে না ফেলি। “তুমি প্রিন্স .... একটু ঘুরে আসি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে ... সকল ফুটপ্রিন্টারকে তাদের সাইটের প্রোফাইলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করার অনুরোধ করছি।
link==>https://youtu.be/OMDL98WVGzkকিন্তু সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি যে, হলুদ শাড়ি/জামা পরিধান করে স্কুল,কলেজ,ভার্সিটি, পার্ক, রাস্তায় ইত্যাদি জায়গায় ঘুরে বেড়ানো তা কোত্থেকে আনয়ন করতেছি বা কোন ফায়দার উদ্দ্যেশে করতেছি???? তা কি খেয়াল করেছি?? #প্রথম কথা হলঃ আমি #Muslim তা কি ভুলে গেছি আমরা?? ভাই ও বোনরা আমাদের কিসে ইসলাম থেকে বিমুখতা সৃষ্টি করছে?? কিসের চাহিদায় আজ ইসলামী বিধানকে অমান্য করে পার্ক, রাস্তায় বেপর্দা করে ঘুরে ঘুরে পরিবেশকে অশ্লীলতা দিকে ধাবিত করতেছ?? বেগানা পুরুষের টান/বেগানা নারির টান?? আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছেন যে একটি মানুষ ... আমরা কি পারিনা আজ এই মুহুর্তে থেকে তওবা করে আল্লাহ ও রাসূলের পথে চলব--- #ইনশাআল্লাহ। আমরা কি মানুষের মত বেঁচে আছি?কি করে এত অন্যায় সহ্য করছি বলু্ন তো ...\আমি ভাবি এটাই কি আমাদের দেশ না?এটাই তো আমাদের বাংলাদেশ যেখানে একটি দশ বছরের মেয়ে আত্নহত্যা করে ভাত না খেতে পাওয়ার অভিমানে।এই সেই দেশ যেখানে মা তার সদ্য জন্মানো শিশুটিকে মাত্র ২ হাজার টাকায় পেটের দায়ে বিক্রি করে দেয়।এই সেই দেশ যেখানে চার বছর থেকে শুরু করে নব্বই বছরের ক্ষুধার্ত ভিখিরীরা দুয়ারে দুয়ারে রাস্তায় ... বসানো হবে,আলবদর প্রধান মন্ত্রী হয়ে গাড়িতে পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াবে.....আর আমরা তাকিয়ে দেখবো...... ভাই ছোট্ট একটা প্রশ্ন এতো কিছু দেখে বুকে একটু আগুন জ্বলেনা,কিছু করতে ইচ্ছা হয়না??পারিনা আমরা একটুখানি দেশটাকে সুন্দর করতে????পারিনা ওই অবংশধারীদের কানে ধরে গদি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞেস করতে “"কার টাকায় খায়া ফুর্তি করো আন্টি"?
Category
License
Standard YouTube Licene
আমরা কি পারিনা, এই সকল রাস্তায় ঘুরে... ||- JM Tv(240p)
ভালোবাসলে কি সত্যিই নিজের পছন্দের আর ভালো লাগার জায়গায় ভাটা পরে? কখনোই না। তাহলে সেই সম্পর্কে মনের মিল নেই।আর এমন সম্পর্কে ভাটা পরে চোখের পলকে। তারপর এক সময় ... ধীরে ধীরে একসময় এই মায়ার জাল বন্ধুত্ব থেকে সৃষ্টি হওয়া প্রেমের সম্পর্কটাকেও বিষিয়ে তোলে যার শেষ হয় ঘৃণা আর বিদ্বেষ দিয়ে। আর এভাবে অপমৃত্যু ঘটে ... আমরা যে কেউ যেকোনো সময় কাওকে ভালোবাসতে পারি কিন্তু একবার ভেবে দেখা উচিত যাতে আবেগের অবক্ষয় না হয়, যাতে মোহগ্রস্ত হয়ে নিজেকে গভীর সমুদ্রে হারিয়ে না ফেলি। “তুমি প্রিন্স .... একটু ঘুরে আসি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে ... সকল ফুটপ্রিন্টারকে তাদের সাইটের প্রোফাইলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করার অনুরোধ করছি।
Category
License
খুলনাতে ৪ বছরের শিশু মটরসাইকেল চালাচ্ছে পিছনে তিনজনকে বসিয়ে !! বিশ্বাস || JM TV
খুলনাতে ৪ বছরের শিশু মটরসাইকেল চালাচ্ছে পিছনে তিনজনকে বসিয়ে !! বিশ্বাস
খুলনাতে ৪ বছরের শিশু মটরসাইকেল চালাচ্ছে পিছনে তিনজনকে বসিয়ে !! বিশ্বাস না হলে দেখুন-. বিস্তারিত দেখতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন. Loading... ভিডিওটি এখানে দেখুন-. বিস্তারিত দেখতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন. x. 2016-12-18. B N. Share. Related Articles. শিখে রাখুন তরমুজ কাটার দূর্দান্ত দুই উপায়, চমকে দিন আপনার অতিথিকে-(
Ak rohinga sisu a kI gan gailo pura matha nosto |||JM Tv show
Ak rohinga sisu a kI gan gailo pura matha nosto |||JM Tv show
Ak rohinga sisu a kI gan gailo pura matha nosto |||JM Tv show
Ki gan amon gan ami jibona suni ni, ha ha ki sa sur, sun la jano mon vora jaiPresenting Mile Ho Tum reprise version sung by Neha Kakkar & Tony Kakkar from the movie Fever.
Reprise Version Song Credits :
Title : Mile Ho Tum Singer : Tony Kakkar & Neha Kakkar Lyrics : Tony Kakkar Music : Tony Kakkar Arrangers/Programmers : Aditya Dev & Tony Kakkar Mastered by : Shadaab Rayeen Guitars : Rhythm Shaw Flute : Kiran Mixed by : Aditya Dev Music Video Director - Gaurav Jang To set Mile Ho Tum as your caller tune SMS FEVER1 to 57575
Cast : Rajeev Khandelwal, Gauahar Khan, Gemma Atkinson, Caterina Murino & Victor Bannerjee
Director : Rajeev Jhaveri
Producers : Ravi Agrawal, Mahesh Balekundri, Ajay Chabbria & Rajath Manjunath.
Co-Producer : Karan Devgan Notice
Category
20 November at 00:23 ·. http://jahirulislamjmtv.blogspot.co.id/…/ak-rohinga-sisu- ki… Ak rohinga sisu a kI gan gailo pura matha nosto |||JM Tv show. Ak rohinga sisu a kI gan gailo pura matha nosto|||JM Tv show Get link Facebook Twitter Pinterest Google+ Email Other Apps November 19, 2017… jahirulislamjmtv. blogspot.pe.
Title : Mile Ho Tum Singer : Tony Kakkar & Neha Kakkar Lyrics : Tony Kakkar Music : Tony Kakkar Arrangers/Programmers : Aditya Dev & Tony Kakkar Mastered by : Shadaab Rayeen Guitars : Rhythm Shaw Flute : Kiran Mixed by : Aditya Dev Music Video Director - Gaurav Jang To set Mile Ho Tum as your caller tune SMS FEVER1 to 57575
Cast : Rajeev Khandelwal, Gauahar Khan, Gemma Atkinson, Caterina Murino & Victor Bannerjee
Director : Rajeev Jhaveri
Producers : Ravi Agrawal, Mahesh Balekundri, Ajay Chabbria & Rajath Manjunath.
Co-Producer : Karan Devgan
Category
LADbible - This lad's model-making skills are sensational��...||JM TV SHOW
hey say their work helps people gain confidence, build self-esteem and develop social, life and physical skills. Joseph's dad hopes that this will inspire other companies to include people from all backgrounds and abilities in future campaigns. He told Huffington Post: "Advertising can put across in a very ...
LADbible - This lad's model-making skills are sensational��...||JM TV SHOW
A water scene can dramatically change the look of an already
I use EnviroTex Lite to model this diorama however most two part epoxies will work just as well and you can also use Woodland Scenics Realistic Water which is an acrylic that is easy to use and easy to clean.
LADbible - This lad's model-making skills are sensational��...||JM TV SHOW
A water scene can dramatically change the look of an already
https://www.youtube.com/channel/UCc1_...
fantastic model and make it look even better! In this easy to follow tutorial I’ll step you through modeling with water from a plain piece of foam board right up to an amazing looking river scene!
This model river is made in HO scale however as with most of the tutorials I do the techniques can be applied to not only HO scale but N scale and lager scales as well. The technique I use can be applied for a slow flowing river or stream modeling a lake, modeling rapids and modeling a waterfall as well.I use EnviroTex Lite to model this diorama however most two part epoxies will work just as well and you can also use Woodland Scenics Realistic Water which is an acrylic that is easy to use and easy to clean.
ইত্যাদি, hanif,manna,kabila,misha,dilder copy ak bro vai, na dakla beliv...
এই অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে । ইত্যাদি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান।[১] বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিন মাস পর পর প্রচারিত এই কৌতুকাশ্রয়ী ব্যাঙ্গাত্মক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হানিফ সংকেত।[১] ১৯৯০- এর দশকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। প্রায় ২৫ বছর ধরে ইত্যাদি প্রচারিত হচ্ছে।[১] এর প্রধান আকর্ষণীয় দিক হলো সমাজের নানা অসংগতিকে বিদ্রুপ ও রসময় করে উপস্থাপনা। তবে বর্তমানে এটি এক মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। নিয়মিত পর্বগুলোর মধ্যে নানা-নাতি,[২] চিঠিপত্র, দর্শক পর্ব, বিদেশী চলচ্চিত্রের বাংলা সংলাপ, মামা-ভাগ্নে উল্লেখযোগ্য। নানা-নাতির ...
ইত্যাদি, hanif,manna,kabila,misha,dilder copy ak bro vai, na dakla belive|| jm tv show
link====>https://youtu.be/jNxmDH7gPys
ইত্যাদি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিন মাস পর পর প্রচারিত এই কৌতুকাশ্রয়ী ব্যাঙ্গাত্মক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হানিফ সংকেত। ১৯৯০-এর দশকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। প্রায় ২৭ বছর ধরে ইত্যাদিপ্রচারিত হচ্ছে। এর প্রধান আকর্ষণীয় দিক হলো সমাজের নানা অসংগতিকে বিদ্রুপ ও রসময় করে উপস্থাপনা। তবে বর্তমানে এটি এক মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটি সাধারনত মাসের পঞ্চম শুক্রবার রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর অনুষ্ঠিত হয়। এছারা ঈদ-উল-ফিতর এর মধ্যে ও অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়।
ইত্যাদি, hanif,manna,kabila,misha,dilder copy ak bro vai, na dakla belive|| jm tv show
link====>https://youtu.be/jNxmDH7gPys
ইত্যাদি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিন মাস পর পর প্রচারিত এই কৌতুকাশ্রয়ী ব্যাঙ্গাত্মক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হানিফ সংকেত। ১৯৯০-এর দশকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। প্রায় ২৭ বছর ধরে ইত্যাদিপ্রচারিত হচ্ছে। এর প্রধান আকর্ষণীয় দিক হলো সমাজের নানা অসংগতিকে বিদ্রুপ ও রসময় করে উপস্থাপনা। তবে বর্তমানে এটি এক মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটি সাধারনত মাসের পঞ্চম শুক্রবার রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর অনুষ্ঠিত হয়। এছারা ঈদ-উল-ফিতর এর মধ্যে ও অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়।
How is the operation of people's teeth, what do you think? 12 k views JM TV
How is the operation of people's teeth, what do you think? 12 k views JM TV SHOW
Mar 2, 2011 - কুষ্টিয়ার বাউল শিল্পী গগন হরকরার (বাউল গগনচন্দ্র দাস) “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে”(ডাউনলোড লিংক) গানের সুরের অনুকরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই গানটির সুর করেন। সরলা দেবী চৌধুরানী ১৯০০ সালে তাঁর 'শতগান সংকলনে' গগন হরকরা রচিত গানটির স্বরলিপি প্রকাশ করেছিলেন। গগন হরকরার সেই গান : আমি কোথায় পাব তারে, ..... অতিথি লেখক এর ছবি. ৬১ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৩/২০১১ - ২:৪৯পূর্বাহ্ন)WATCH LINK===>https://youtu.be/jNxmDH7gPys
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদনধর্মী টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'। বরাবরই এটি উপস্থাপনা করে থাকেন নামকরা উপস্থাপক হানিফ সংকেত। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আর এবারের 'ইত্যাদি'র আয়োজন করা হয়েছে পাবনা সদরে। 'ইত্যাদি'র এবারের পর্বে উপস্থিত থাকবেন ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আরও থাকবেন নাট্যকার বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। প্রতি ঈদেই 'ইত্যাদি'র একটা বিশেষ পর্ব থাকে। কিন্তু উপস্থাপক হানিফ সংকেত হজ পালনে সৌদি আরব থাকায় এবার ঈদে ইত্যাদির কোনো আয়োজন নেই। তবে হানিফ সংকেত হজ থেকে ফিরলেই শুরু হবে 'ইত্যাদি'র কার্যক্রম। চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশিকে দিয়ে একটি বিশেষ পর্ব তৈরি করবেন তিনি।Amar Shonar Bangladesh ||আমার সোনার বাংলা গান

আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এ গানটির প্রথম দশ লাইন সদ্যগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয়সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
- ১জীবন
- ২বিশ্বভ্রমণ
- ৩সৃষ্টিকর্ম
- ৪রাজনৈতিক মতাদর্শ ও শিক্ষাচিন্তা
- ৫প্রভাব
- ৬রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামাঙ্কিত স্মারক ও দ্রষ্টব্যস্থল
- ৭পাদটীকা
- ৮তথ্যসূত্র
- ৯মূল সূত্র
- ১০আরও পড়ুন
- ১১বহিঃসংযোগ
কথা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯০৫
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,. মরি হায়, হায় রে --. ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি ॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো--. কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,. মরি হায়, হায় রে--. মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি ॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে,. তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,. মরি হায়, হায় রে--. তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি ॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে
\\\আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। রচনা ও সুরারোপ. আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। গানটির পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, তাই এর সঠিক রচনাকাল জানা যায় না। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৭ অগস্ট কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় এই গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই বছরই ৭ সেপ্টেম্বর (১৩১২ বঙ্গাব্দের ২২ ভাদ্র) সঞ্জীবনী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সাক্ষরে গানটি মুদ্রিত হয়। এই বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন ...উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)[১] (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)[১] ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।[২] তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।[৩] রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়।[৪] রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ,[৫] ৩৮টি নাটক,[৬] ১৩টি উপন্যাস[৭] ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন[৮] তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প[৯] ও ১৯১৫টি গান[১০] যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে।[১১] রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত।[১২] এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন।[১৩] রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১৪]
CHAK LINK==>>https://youtu.be/kalywc3u5Lg
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,. মরি হায়, হায় রে
\\\আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। রচনা ও সুরারোপ. আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। গানটির পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, তাই এর সঠিক রচনাকাল জানা যায় না। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৭ অগস্ট কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় এই গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই বছরই ৭ সেপ্টেম্বর (১৩১২ বঙ্গাব্দের ২২ ভাদ্র) সঞ্জীবনী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সাক্ষরে গানটি মুদ্রিত হয়। এই বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন ...উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই নিবন্ধটি বাঙালি সাহিত্যিক সম্পর্কিত। অন্যান্য ব্যবহারের জন্য, দেখুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (দ্ব্যর্থতা নিরসন)।
| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | |
|---|---|
১৯১৫ সালে কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ
| |
| জন্ম | মে ৭, ১৮৬১ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) |
| মৃত্যু | আগস্ট ৭, ১৯৪১ (৮০ বছর) জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) |
| সমাধিস্থল | কলকাতা |
| ছদ্মনাম | ভানুসিংহ ঠাকুর (ভণিতা) |
| পেশা |
|
| ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
| জাতি | বাঙালি |
| নাগরিকত্ব | |
| সময়কাল | বঙ্গীয় নবজাগরণ |
| সাহিত্য আন্দোলন | প্রাসঙ্গিক আধুনিকতা |
| উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ | গীতাঞ্জলি (১৯১০), রবীন্দ্র রচনাবলী"গোরা" "আমার সোনার বাংলা" "ঘরে বাইরে" |
| উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯১৩) |
| দাম্পত্যসঙ্গী | মৃণালিনী দেবী (বি. ১৮৭৩–১৯০২) |
| আত্মীয় | ঠাকুর পরিবার |
| স্বাক্ষর | |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)[১] (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)[১] ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।[২] তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।[৩] রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়।[৪] রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ,[৫] ৩৮টি নাটক,[৬] ১৩টি উপন্যাস[৭] ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন[৮] তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প[৯] ও ১৯১৫টি গান[১০] যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে।[১১] রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত।[১২] এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন।[১৩] রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১৪]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১৫][১৬][১৭][১৮] বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।[১৯] আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›][২০]১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তাঁর "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা।[২১] ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।[২২] ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।[২২] ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন।[২২] ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।[২৩] ১৯০২ সালে তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়।[২৩] ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।[২৩]১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন।[২৩] কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।[২৪] ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[২৫] ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতীপ্রতিষ্ঠিত হয়।[২৬] দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।[২৫] ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তাঁর মৃত্যু হয়।[২৭]
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।[২৮] রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।[২৯]ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।[৩০] কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।[৩১] সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।[৩২] এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।[৩৩] রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন।[৩৪] সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।[৩৫] রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি।[৩৬] তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত।[৩৭]
জীবন
জীবন
প্রথম জীবন (১৮৬১–১৯০১)
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)
শৈশব ও কৈশোর (১৮৬১ - ১৮৭৮)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫)[৩৮]এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫)।[৩৯] রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান।খ[›][৪০] জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা।[৪১][৪২] রবীন্দ্রনাথের পূর্ব পুরুষেরা খুলনা জেলার রূপসা উপজেলা পিঠাভোগে বাস করতেন।[৪৩] ১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে।[২২] পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে।[৪৪][৪৫] শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন।[৪৬] কিন্তু বিদ্যালয়-শিক্ষায় অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।[৪৭] ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর ও পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ।[৪৮][৪৯]
১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২১] এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন।[২১]প্রথমে তাঁরা আসেন শান্তিনিকেতনে।[৫০] এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন।[৫০] শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়।[৫০] এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন।[৫০]দেবেন্দ্রনাথ তাঁকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য ও নাটক এবং উপনিষদ্ পাঠেও উৎসাহিত করতেন।[৫১][৫২] ১৮৭৭ সালে ভারতী পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এগুলি হল মাইকেল মধুসূদনের "মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা", ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী এবং "ভিখারিণী" ও "করুণা" নামে দুটি গল্প। এর মধ্যে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে "ভানুসিংহ" ভণিতায় রচিত।[৫৩] রবীন্দ্রনাথের "ভিখারিণী" গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প।[৫৪][৫৫]১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী।[৫৬] এছাড়া এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন সন্ধ্যাসংগীত(১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।[৫৭]
যৌবন (১৮৭৮-১৯০১)
১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ।[৫৮] প্রথমে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন।[৫৮] ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি।[৫৮]ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেকসপিয়র ও অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। এই সময় তিনি বিশেষ মনোযোগ সহকারে পাঠ করেন রিলিজিও মেদিচি, কোরিওলেনাস এবং অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা।[৫৯] এই সময় তাঁর ইংল্যান্ডবাসের অভিজ্ঞতার কথা ভারতী পত্রিকায় পত্রাকারে পাঠাতেন রবীন্দ্রনাথ। উক্ত পত্রিকায় এই লেখাগুলি জ্যেষ্ঠভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনাসহ[৫৮] প্রকাশিত হত য়ুরোপযাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্রধারা নামে।[২২] ১৮৮১ সালে সেই পত্রাবলি য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র নামে গ্রন্থাকারে ছাপা হয়। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্যগ্রন্থ তথা প্রথম চলিত ভাষায় লেখা গ্রন্থ।[৫৮] অবশেষে ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শুরু না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।[৫৮]
১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়।[৬০] বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )।[৬০] রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর সন্তান ছিলেন পাঁচ জন: মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১), রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩), মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)।[৬০] এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে।[৬১]
১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া (নদিয়ার উক্ত অংশটি অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা), পাবনা ও রাজশাহী জেলা এবং উড়িষ্যার জমিদারিগুলির তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।[৬২] কুষ্টিয়ার শিলাইদহেরকুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। জমিদার রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে "পদ্মা" নামে একটি বিলাসবহুল পারিবারিক বজরায় চড়ে প্রজাবর্গের কাছে খাজনা আদায় ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে যেতেন। গ্রামবাসীরাও তাঁর সম্মানে ভোজসভার আয়োজন করত।[৬৩]
১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ মানসী প্রকাশিত হয়। কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও গীতিসংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হলো প্রভাতসংগীত, শৈশবসঙ্গীত, রবিচ্ছায়া, কড়ি ও কোমলইত্যাদি।[৬৪] ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত সাধনা পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যজীবনের এই পর্যায়টি তাই "সাধনা পর্যায়" নামে পরিচিত।[৪৪] রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ গ্রন্থের প্রথম চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই এই পর্যায়ের রচনা।[৫৪] এই ছোটগল্পগুলিতে তিনি বাংলার গ্রামীণ জনজীবনের এক আবেগময় ও শ্লেষাত্মক চিত্র এঁকেছিলেন।[৬৫]
মধ্য জীবন (১৯০১–১৯৩২)
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৯০১–১৯৩২)
১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে।[৬৬] এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ও ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৬৭] আশ্রমের আম্রকুঞ্জ উদ্যানে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করলেন "ব্রহ্মবিদ্যালয়" বা "ব্রহ্মচর্যাশ্র" নামে একটি পরীক্ষামূলক স্কুল।[৬৮] ১৯০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী মারা যান।[৬৯] এরপর ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কন্যা রেণুকা,[৭০] ১৯০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর[৭১] ও ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়।[৭১]
এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন।[৭২] ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান আধুনিক কৃষি ও গোপালন বিদ্যা শেখার জন্য।[৭৩] ১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কৃষিবিজ্ঞান শেখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[৭৪]
এই সময় শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয়ে অর্থসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পুত্র ও জামাতার বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভারও রবীন্দ্রনাথকে বহন করতে হয়।[৭৪] এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর গয়না ও পুরীর বসতবাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।[৭৫]
ইতোমধ্যেই অবশ্য বাংলা ও বহির্বঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯০১ সালে নৈবেদ্য ও ১৯০৬ সালে খেয়া কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়।[৫][৭৬] ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি (ইংরেজি অনুবাদ, ১৯১২) কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে।গ[›][৭৭] ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে 'স্যার' উপাধি (নাইটহুড) দেয়।[৭৮]
১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের অদূরে সুরুল গ্রামে মার্কিন কৃষি-অর্থনীতিবিদ লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের আরও কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রের সহায়তায় রবীন্দ্রনাথ "পল্লীসংগঠন কেন্দ্র" নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[৭৯] এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতিসাধন, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা এবং সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি করা।[৭৯]১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখেন "শ্রীনিকেতন"।[৮০] শ্রীনিকেতন ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রতীক ও প্রতিবাদসর্বস্ব স্বরাজ আন্দোলনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীর আন্দোলনের পন্থা-বিরোধী ছিলেন।[৮১] পরবর্তীকালে দেশ ও বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ, দাতা ও অন্যান্য পদাধিকারীরা শ্রীনিকেতনের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন।[৮২][৮৩]
১৯৩০-এর দশকের প্রথম ভাগে একাধিক বক্তৃতা, গান ও কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথা ও অস্পৃশ্যতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।[৮৪][৮৫]
শেষ জীবন (১৯৩২-১৯৪১)
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৯৩২–১৯৪১)
জীবনের শেষ দশকে (১৯৩২-১৯৪১) রবীন্দ্রনাথের মোট পঞ্চাশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।[৮৬] তাঁর এই সময়কার কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পুনশ্চ (১৯৩২), শেষ সপ্তক (১৯৩৫), শ্যামলী ও পত্রপুট (১৯৩৬) – এই গদ্যকবিতা সংকলন তিনটি।[৫] জীবনের এই পর্বে সাহিত্যের নানা শাখায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফসল হলো তাঁর একাধিক গদ্যগীতিকা ও নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা (১৯৩৬; চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২) কাব্যনাট্যের নৃত্যাভিনয়-উপযোগী রূপ) [৮৭], শ্যামা (১৯৩৯) ও চণ্ডালিকা (১৯৩৯) নৃত্যনাট্যত্রয়ী।[৮৮] এছাড়া রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ তিনটি উপন্যাসও (দুই বোন (১৯৩৩), মালঞ্চ (১৯৩৪) ও চার অধ্যায় (১৯৩৪)) এই পর্বে রচনা করেছিলেন।[৭] তাঁর অধিকাংশ ছবি জীবনের এই পর্বেই আঁকা।[১৩] এর সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ বছরগুলিতে বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন বিশ্বপরিচয়।[৮৯] এই গ্রন্থে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের আধুনিকতম সিদ্ধান্তগুলি সরল বাংলা গদ্যে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।[৮৯] পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানসম্পর্কে তাঁর অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তাঁর কাব্যেও।[৯০] সে (১৯৩৭), তিন সঙ্গী (১৯৪০) ও গল্পসল্প (১৯৪১) গল্পসংকলন তিনটিতে তাঁর বিজ্ঞানী চরিত্র-কেন্দ্রিক একাধিক গল্প সংকলিত হয়েছে।[৯১]
জীবনের এই পর্বে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্রতম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিহার প্রদেশে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুকে গান্ধীজি "ঈশ্বরের রোষ" বলে অভিহিত করলে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজির এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন এবং প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেন।[৯২] কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুরবস্থা ও ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবক্ষয় তাঁকে বিশেষভাবে বিচলিত করে তুলেছিল। গদ্যছন্দে রচিত একটি শত-পংক্তির কবিতায় তিনি এই ঘটনা চিত্রায়িতও করেছিলেন।[৯৩][৯৪]
জীবনের শেষ চার বছর ছিল তাঁর ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়।[৯৫] এই সময়ের মধ্যে দুইবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল তাঁকে।[৯৫] ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির।[৯৫] সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি।[৯৫] এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে সৃজিত কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা।[৯৫][৯৬] মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন।[২৭] দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।[৯৭][৯৮]
বিশ্বভ্রমণ
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভ্রমণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট বারো বার বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন।[৯৯] ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন।[১০০] প্রথম জীবনে দুই বার (১৮৭৮ ও ১৮৯০ সালে) তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন।[৯৯] ১৯১২ সালে ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য তৃতীয়বার ইংল্যান্ডে গিয়ে ইয়েটস প্রমুখ কয়েকজন ইংরেজ কবি ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে সদ্যরচিত গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করে শোনান।[৯৯] কবিতাগুলি শুনে তাঁরাও মুগ্ধ হয়েছিলেন।[৯৯] ইয়েটস স্বয়ং উক্ত কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকাটি লিখে দিয়েছিলেন।[১০১] এই ভ্রমণের সময়েই "দীনবন্ধু" চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে।[১০২] ১৯১৩ সালে সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাঁকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করে।[৯৯] ১৯১৬-১৭ সালে জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কতকগুলি বক্তৃতা দেন।[১০৩][১০৪][১০৫] এই বক্তৃতাগুলি সংকলিত হয় তাঁর ন্যাশনালিজম (১৯১৭) গ্রন্থে।[৯৯][১০৬] তবে জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বিরূপ মতামত উক্ত দুই দেশে সেই সফরকালে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।[৯৯] ১৯২০-২১ সাল নাগাদ আবার ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান কবি।[৯৯] এই সফরের সময় পাশ্চাত্য দেশগুলিতে তিনি সংবর্ধিত হয়েছিলেন।[৯৯] ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ যান চীন সফরে।[৯৯] এরপর চীন থেকে জাপানে গিয়ে সেখানেও জাতীয়তাবাদবিরোধী বক্তৃতা দেন কবি।[৯৯] ১৯২৪ সালের শেষের দিকে পেরু সরকারের আমন্ত্রণে সেদেশে যাওয়ার পথে আর্জেন্টিনায় অসুস্থ হয়ে কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আতিথ্যে তিন মাস কাটান।[১০৭] স্বাস্থ্যের কারণে পেরু ভ্রমণ তিনি স্থগিত করে দেন।[১০৮] পরে পেরু ও মেক্সিকো উভয় দেশের সরকারই বিশ্বভারতীকে ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য প্রদান করেছিল।[১০৯] ১৯২৬ সালে বেনিতো মুসোলিনির আমন্ত্রণে ইতালি সফরে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[১১০] প্রথমে মুসোলিনির আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলেও, পরে লোকমুখে তাঁর স্বৈরাচারের কথা জানতে পেরে, মুসোলিনির কাজকর্মের সমালোচনা করেন কবি। এর ফলে উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ছেদ পড়ে।[১১১] এরপর রবীন্দ্রনাথ গ্রিস, তুরস্ক ও মিশর ভ্রমণ করে ভারতে ফিরে আসেন।[৯৯]
১৯২৭ সালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ চার সঙ্গীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে। এই সময় তিনি ভ্রমণ করেন বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম ও সিঙ্গাপুর।[১১৩] ১৯৩০ সালে কবি শেষবার ইংল্যান্ডে যান অক্সফোর্ডে হিবার্ট বক্তৃতা দেওয়ার জন্য।[৯৯] এরপর তিনি ভ্রমণ করেন ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।[১১৪][১১৫][১১৬] ১৯৩২ সালে ইরাক ও পারস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন কবি।[৯৯] এরপর ১৯৩৪ সালে সিংহলে যান রবীন্দ্রনাথ। এটিই ছিল তাঁর সর্বশেষ বিদেশ সফর।[১১৭][১১৮]
রবীন্দ্রনাথ যেসকল বইতে তাঁর বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলি লিপিবদ্ধ করে রাখেন সেগুলি হল: য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র (১৮৮১), য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি(১৮৯১, ১৮৯৩), জাপান-যাত্রী (১৯১৯), যাত্রী (পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি ও জাভা-যাত্রীর পত্র, ১৯২৯), রাশিয়ার চিঠি (১৯৩১), পারস্যে (১৯৩৬) ও পথের সঞ্চয়(১৯৩৯)।[৯৯] ব্যাপক বিশ্বভ্রমণের ফলে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সমসাময়িক অরিঁ বের্গসঁ, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ফ্রস্ট, টমাস মান, জর্জ বার্নার্ড শ, এইচ জি ওয়েলস, রোম্যাঁ রোলাঁ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন।[১১৯][১২০] জীবনের একেবারে শেষপর্বে পারস্য, ইরাক ও সিংহল ভ্রমণের সময় মানুষের পারস্পরিক ভেদাভেদ ও জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তাঁর বিতৃষ্ণা আরও তীব্র হয়েছিল মাত্র।[১২১] অন্যদিকে বিশ্বপরিক্রমার ফলে ভারতের বাইরে নিজের রচনাকে পরিচিত করে তোলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিনিময়ের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি।[৯৯]
সৃষ্টিকর্ম
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মূলত এক কবি। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কাব্যরচনা শুরু করেন। তাঁর প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২। তবে বাঙালি সমাজে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রধানত সংগীতস্রষ্টা হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ প্রায় দুই হাজার গান লিখেছিলেন। কবিতা ও গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা রবীন্দ্র রচনাবলী নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁর সামগ্রিক চিঠিপত্র উনিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত।[১২২]
কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি।[১২৩] তাঁর কবিকাহিনী, বনফুল ও ভগ্নহৃদয় কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট।[১২৪] সন্ধ্যাসংগীত কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন।[১২৪] এই পর্বের সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাতসংগীত, ছবি ও গান ও কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা, আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি ও মানবপ্রেম।[১২৪] ১৮৯০ সালে প্রকাশিত মানসী এবং তার পর প্রকাশিত সোনার তরী (১৮৯৪), চিত্রা (১৮৯৬), চৈতালি (১৮৯৬), কল্পনা (১৯০০) ও ক্ষণিকা (১৯০০) কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক ভাবনা।[১২৪] ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে নৈবেদ্য (১৯০১), খেয়া (১৯০৬), গীতাঞ্জলি (১৯১০), গীতিমাল্য (১৯১৪) ও গীতালি (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে।[১২৪] ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটলে বলাকা (১৯১৬) কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার পরিবর্তে আবার মর্ত্যজীবন সম্পর্কে আগ্রহ ফুটে ওঠে।[১২৪]পলাতকা (১৯১৮) কাব্যে গল্প-কবিতার আকারে তিনি নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন।[১২৪] পূরবী (১৯২৫) ও মহুয়া (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ আবার প্রেমকে উপজীব্য করেন।[১২৪] এরপর পুনশ্চ (১৯৩২), শেষ সপ্তক (১৯৩৫), পত্রপুট (১৯৩৬) ও শ্যামলী (১৯৩৬) নামে চারটি গদ্যকাব্য প্রকাশিত হয়।[১২৪] জীবনের শেষ দশকে কবিতার আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েকটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[১২৪] এই সময়কার রোগশয্যায় (১৯৪০), আরোগ্য (১৯৪১), জন্মদিনে (১৯৪১) ও শেষ লেখা (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত) কাব্যে মৃত্যু ও মর্ত্যপ্রীতিকে একটি নতুন আঙ্গিকে পরিস্ফুট করেছিলেন তিনি।[১২৪] শেষ কবিতা "তোমার সৃষ্টির পথ" মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[১২৪]
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব পদাবলি, উপনিষদ্, কবীরের দোঁহাবলি, লালনের বাউল গান ও রামপ্রসাদ সেনের শাক্ত পদাবলি সাহিত্যের প্রভাব লক্ষিত হয়।[১২৫][১২৬][১২৭] তবে প্রাচীন সাহিত্যের দুরূহতার পরিবর্তে তিনি এক সহজ ও সরস কাব্যরচনার আঙ্গিক গ্রহণ করেছিলেন। আবার ১৯৩০-এর দশকে কিছু পরীক্ষামূলক লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা ও বাস্তবতাবোধের প্রাথমিক আবির্ভাব প্রসঙ্গে নিজ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছিলেন কবি।[১২৮] বহির্বিশ্বে তাঁর সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত কাব্যগ্রন্থটি হল গীতাঞ্জলি। এ বইটির জন্যই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১২৯] নোবেল ফাউন্ডেশন তাঁর এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিল একটি "গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল ও সুন্দর কাব্যগ্রন্থ" রূপে।[১৩০]
ছোটগল্প
চিত্র:The Hero Illustration.jpg
১৯১৩ সালে ম্যাকমিলান প্রকাশিত দ্য ক্রেসেন্ট মুন (শিশু ভোলানাথ) অনুবাদগ্রন্থের দ্য হিরো (বীরপুরুষ) আখ্যানকবিতার নন্দলাল বসুকৃত অলংকরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার।[১৩১][১৩২] মূলত হিতবাদী, সাধনা, ভারতী, সবুজ পত্র প্রভৃতি মাসিক পত্রিকাগুলির চাহিদা মেটাতে তিনি তাঁর ছোটগল্পগুলি রচনা করেছিলেন।[১৩৩] এই গল্পগুলির উচ্চ সাহিত্যমূল্য-সম্পন্ন।[১৩৩] রবীন্দ্রনাথের জীবনের "সাধনা" পর্বটি (১৮৯১–৯৫) ছিল সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল পর্যায়। তাঁর গল্পগুচ্ছ গল্পসংকলনের প্রথম তিন খণ্ডের চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই রচিত হয় এই সময়কালের মধ্যে।[৫৪] গল্পগুচ্ছ সংকলনের অন্য গল্পগুলির অনেকগুলিই রচিত হয়েছিল রবীন্দ্রজীবনের সবুজ পত্র পর্বে (১৯১৪–১৭; প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নামানুসারে) [৫৪] তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্প হল "কঙ্কাল", "নিশীথে", "মণিহারা", "ক্ষুধিত পাষাণ", "স্ত্রীর পত্র", "নষ্টনীড়", "কাবুলিওয়ালা", "হৈমন্তী", "দেনাপাওনা", "মুসলমানীর গল্প" ইত্যাদি।[১৩৩] শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ লিপিকা, সে ও তিনসঙ্গী গল্পগ্রন্থে নতুন আঙ্গিকে গল্পরচনা করেছিলেন।[১৩৪]
রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি বা আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতেন। কখনও তিনি মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের বৌদ্ধিক বিশ্লেষণকেই গল্পে বেশি প্রাধান্য দিতেন।[১৩৫]
রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র, নাটক ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। তাঁর গল্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রায়ণ হল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত তিন কন্যা ("মনিহারা", "পোস্টমাস্টার" ও "সমাপ্তি" অবলম্বনে)[১৩৬] ও চারুলতা ("নষ্টনীড়" অবলম্বনে) [১৩৭], তপন সিংহ পরিচালিত অতিথি, কাবুলিওয়ালা ও ক্ষুধিত পাষাণ[১৩৮], পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত স্ত্রীর পত্র[১৩৯]ইত্যাদি।
উপন্যাস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট তেরোটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন।[১৩৩] এগুলি হল: বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩), রাজর্ষি (১৮৮৭), চোখের বালি (১৯০৩), নৌকাডুবি (১৯০৬), প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮), গোরা (১৯১০), ঘরে বাইরে (১৯১৬), চতুরঙ্গ (১৯১৬), যোগাযোগ (১৯২৯), শেষের কবিতা (১৯২৯), দুই বোন (১৯৩৩), মালঞ্চ (১৯৩৪) ও চার অধ্যায় (১৯৩৪)।[১৩৩] বৌ-ঠাকুরাণীর হাট ও রাজর্ষি ঐতিহাসিক উপন্যাস। এদুটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস রচনার প্রচেষ্টা।[১৩৩] এরপর থেকে ছোটগল্পের মতো তাঁর উপন্যাসগুলিও মাসিকপত্রের চাহিদা অনুযায়ী নবপর্যায় বঙ্গদর্শন, প্রবাসী, সবুজ পত্র, বিচিত্রা প্রভৃতি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।[১৩৩]
চোখের বালি উপন্যাসে দেখানো হয়েছে সমসাময়িককালে বিধবাদের জীবনের নানা সমস্যা।[১৩৩] নৌকাডুবি উপন্যাসটি আবার লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে।[১৩৩] গোরা রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।[১৩৩] এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের হিন্দু ও ব্রাহ্মসমাজের সংঘাত ও ভারতের তদানীন্তন সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলি।[১৩৩] ঘরে বাইরে উপন্যাসের বিষয়বস্তু ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের জটিলতা।[১৪১][১৪২][১৪৩] স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা আরও সূক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে তাঁর পরবর্তী যোগাযোগ উপন্যাসেও।[১৩৩] চতুরঙ্গ উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের “ছোটগল্পধর্মী উপন্যাস”।[১৩৩] স্ত্রীর অসুস্থতার সুযোগে স্বামীর অন্য স্ত্রীলোকের প্রতি আসক্তি – এই বিষয়টিকে উপজীব্য করে রবীন্দ্রনাথ দুই বোন ও মালঞ্চ উপন্যাসদুটি লেখেন।[১৩৩] এর মধ্যে প্রথম উপন্যাসটি মিলনান্তক ও দ্বিতীয়টি বিয়োগান্তক।[১৩৩] রবীন্দ্রনাথের শেষ উপন্যাস চার অধ্যায় সমসাময়িক বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি বিয়োগান্তক প্রেমের উপন্যাস।[১৩৩]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরে[১৪৪] ও ঋতুপর্ণ ঘোষেরচোখের বালি।
প্রবন্ধ ও পত্রসাহিত্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন।[৩১] এইসব প্রবন্ধে তিনি সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, ধর্ম, সাহিত্যতত্ত্ব, ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, ছন্দ, সংগীত ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেন।[৩১] রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তামূলক প্রবন্ধগুলি সমাজ (১৯০৮) সংকলনে সংকলিত হয়েছে।[৩১] রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে লেখা রাজনীতি-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি সংকলিত হয়েছে কালান্তর (১৯৩৭) সংকলনে।[৩১] রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা ও আধ্যাত্মিক অভিভাষণগুলি সংকলিত হয়েছে ধর্ম (১৯০৯) ও শান্তিনিকেতন (১৯০৯-১৬) অভিভাষণমালায়।[৩১] রবীন্দ্রনাথের ইতিহাস-সংক্রান্ত প্রবন্ধগুলি স্থান পেয়েছে ভারতবর্ষ (১৯০৬), ইতিহাস (১৯৫৫) ইত্যাদি গ্রন্থে।[৩১] সাহিত্য (১৯০৭), সাহিত্যের পথে (১৯৩৬) ও সাহিত্যের স্বরূপ (১৯৪৩) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করেছেন।[৩১] রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্য ও আধুনিক সাহিত্যের সমালোচনা করেছেন যথাক্রমে প্রাচীন সাহিত্য(১৯০৭) ও আধুনিক সাহিত্য (১৯০৭) গ্রন্থদুটিতে।[৩১] লোকসাহিত্য (১৯০৭) প্রবন্ধমালায় তিনি আলোচনা করেছেন বাংলা লোকসাহিত্যের প্রকৃতি।[৩১] ভাষাতত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ রয়েছে শব্দতত্ত্ব (১৯০৯), বাংলা ভাষা পরিচয় (১৯৩৮) ইত্যাদি গ্রন্থে।[৩১] ছন্দ ও সংগীত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন যথাক্রমে ছন্দ (১৯৩৬) ও সংগীতচিন্তা (১৯৬৬) গ্রন্থে।[৩১] বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষা-সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা (১৯০৮) প্রবন্ধমালায়।[৩১] ন্যাশনালিজম (ইংরেজি: Nationalism, ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার বিরোধিতা করেছেন।[৩১] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি রিলিজিয়ন অফ ম্যান (ইংরেজি: Religion of Man, ১৯৩০; বাংলা অনুবাদ মানুষের ধর্ম, ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়।[৩১] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা জন্মদিনের অভিভাষণ সভ্যতার সংকট (১৯৪১) তাঁর সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ।[৩১] জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বপরিচয় (১৯৩৭) নামে একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছিলেন।[৩১] জীবনস্মৃতি (১৯১২), ছেলেবেলা (১৯৪০) ও আত্মপরিচয় (১৯৪৩) তাঁর আত্মকথামূলক গ্রন্থ।[৩১]
রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক পত্রসাহিত্য আজ পর্যন্ত উনিশটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।[১২] এছাড়া ছিন্নপত্র ও ছিন্নপত্রাবলী (ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে লেখা), ভানুসিংহের পত্রাবলী (রানু অধিকারীকে (মুখোপাধ্যায়) লেখা) ও পথে ও পথের প্রান্তে (নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লেখা) বই তিনটি রবীন্দ্রনাথের তিনটি উল্লেখযোগ্য পত্রসংকলন।[১২]
নাট্যসাহিত্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ছিলেন নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা।[১৪৫] জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক নাট্যমঞ্চে মাত্র ষোলো বছর বয়সে অগ্রজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত হঠাৎ নবাব নাটকে (মলিয়ের লা বুর্জোয়া জাঁতিরোম অবলম্বনে রচিত) [১৪৬] ও পরে জ্যোতিরিন্দ্রনাথেরই অলীকবাবুনাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[১৪৫] ১৮৮১ সালে তাঁর প্রথম গীতিনাট্য বাল্মীকি-প্রতিভা মঞ্চস্থ হয়।[১৪৫][১৪৭] এই নাটকে তিনি ঋষি বাল্মীকির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[১৪৫][১৪৭] ১৮৮২ সালে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে কালমৃগয়া নামে আরও একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন।[১৪৫][১৪৭] এই নাটক মঞ্চায়নের সময় তিনি অন্ধমুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[১৪৫][১৪৭]
গীতিনাট্য রচনার পর রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন।[১৪৫][১৪৭] শেকসপিয়রীয় পঞ্চাঙ্ক রীতিতে রচিত তাঁর রাজা ও রাণী (১৮৮৯)[১৪৮] ও বিসর্জন (১৮৯০)[১৪৯] বহুবার সাধারণ রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় এবং তিনি নিজে এই নাটকগুলিতে অভিনয়ও করেন।[১৪৫] ১৮৮৯ সালে রাজা ও রাণীনাটকে বিক্রমদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ।[১৪৫] বিসর্জন নাটকটি দুটি ভিন্ন সময়ে মঞ্চায়িত করেছিলেন তিনি।[১৪৫] ১৮৯০ সালের মঞ্চায়নের সময় যুবক রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধ রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালের মঞ্চায়নের সময় বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যুবক জয়সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[১৪৫] কাব্যনাট্য পর্বে রবীন্দ্রনাথের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২)[১৫০] ও মালিনী (১৮৯৬)।[১৪৫][১৫১]
কাব্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ প্রহসন রচনায় মনোনিবেশ করেন।[১৪৫] এই পর্বে প্রকাশিত হয় গোড়ায় গলদ (১৮৯২), বৈকুণ্ঠের খাতা (১৮৯৭), হাস্যকৌতুক (১৯০৭) ও ব্যঙ্গকৌতুক (১৯০৭)।[১৪৫]বৈকুণ্ঠের খাতা নাটকে রবীন্দ্রনাথ কেদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[১৪৫] ১৯২৬ সালে তিনি প্রজাপতির নির্বন্ধ উপন্যাসটিকেও চিরকুমার সভা নামে একটি প্রহসনমূলক নাটকের রূপ দেন।[১৪৫][১৫২]
১৯০৮ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ রূপক-সাংকেতিক তত্ত্বধর্মী নাট্যরচনা শুরু করেন।[১৪৫] ইতিপূর্বে প্রকৃতির প্রতিশোধ (১৮৮৪) নাটকে তিনি কিছুটা রূপক-সাংকেতিক আঙ্গিক ব্যবহার করেছিলেন।[১৪৫] কিন্তু ১৯০৮ সালের পর থেকে একের পর এক নাটক তিনি এই আঙ্গিকে লিখতে শুরু করেন।[১৪৫] এই নাটকগুলি হল: শারদোৎসব (১৯০৮), রাজা (১৯১০), ডাকঘর (১৯১২), অচলায়তন (১৯১২), ফাল্গুনী (১৯১৬), মুক্তধারা (১৯২২), রক্তকরবী (১৯২৬), তাসের দেশ (১৯৩৩), কালের যাত্রা (১৯৩২) ইত্যাদি।[১৪৫] এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রধানত শান্তিনিকেতনে মঞ্চ তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অভিনয়ের দল গড়ে মঞ্চস্থ করতেন।[১৪৫] কখনও কখনও কলকাতায় গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করতেন তিনি।[১৪৫] এই সব নাটকেও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ।[১৪৫] তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১৯১১ সালে শারদোৎসব নাটকে সন্ন্যাসী এবং রাজা নাটকে রাজা ও ঠাকুরদাদার যুগ্ম ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৪ সালে অচলায়তন নাটকে অদীনপুণ্যের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৫ সালে ফাল্গুনী নাটকে অন্ধ বাউলের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৭ সালে ডাকঘরনাটকে ঠাকুরদা, প্রহরী ও বাউলের ভূমিকায় অভিনয়।[১৪৫] নাট্যরচনার পাশাপাশি এই পর্বে ছাত্রছাত্রীদের অভিনয়ের প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ পুরোন নাটকগুলি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ করে নতুন নামে প্রকাশ করেন।[১৪৫] শারদোৎসব নাটকটি হয় ঋণশোধ (১৯২১), রাজা হয় অরূপরতন(১৯২০), অচলায়তন হয় গুরু (১৯১৮), গোড়ায় গলদ হয় শেষরক্ষা (১৯২৮), রাজা ও রাণী হয় তপতী (১৯২৯) এবং প্রায়শ্চিত্ত হয় পরিত্রাণ(১৯২৯)।[১৪৫]
১৯২৬ সালে নটীর পূজা নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচ ও গানের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।[১৪৫] এই ধারাটিই তাঁর জীবনের শেষ পর্বে “নৃত্যনাট্য” নামে পূর্ণ বিকাশ লাভ করে।[১৪৫] নটীর পূজা নৃত্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ একে একে রচনা করেন শাপমোচন (১৯৩১), তাসের দেশ (১৯৩৩), নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা (১৯৩৬), নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা (১৯৩৮) ও শ্যামা (১৯৩৯)।[১৪৫] এগুলিও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরাই প্রথম মঞ্চস্থ করেছিলেন।[১৪৫]
সংগীত ও নৃত্যকলা
|
| |
| এই ফাইলটি শুনতে অসুবিধা হচ্ছে? মিডিয়া সাহায্যদেখুন। | |
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রসংগীত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।[১০] ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।[১৫৪] রবীন্দ্রনাথ তাঁর বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।[১৫৫] রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।[১৫৬] প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।[১৫৬] দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।[১৫৬] এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট।[১৫৬] এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন।[১৫৬] ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।[১৫৬] এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তাঁর নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।[১৫৬] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়।[১৫৬] কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র ও দুরূহ সুরসৃষ্টি।[১৫৬] তাঁর রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে গীতবিতান গ্রন্থে।[৩৬] এই গ্রন্থের "পূজা", "প্রেম", "প্রকৃতি", "স্বদেশ", "আনুষ্ঠানিক" ও "বিচিত্র" পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়।[৩৬] পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ ও অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল।[৩৬] ইউরোপীয় অপেরার আদর্শে বাল্মীকি-প্রতিভা, কালমৃগয়া গীতিনাট্য এবং চিত্রাঙ্গদা, চণ্ডালিকা, ও শ্যামা সম্পূর্ণ গানের আকারে লেখা।[৩৬]
রবীন্দ্রনাথের সময় বাংলার শিক্ষিত পরিবারে নৃত্যের চর্চা নিষিদ্ধ ছিল।[১২২] কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর পাঠক্রমে সংগীত ও চিত্রকলার সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যকেও অন্তর্ভুক্ত করেন।[১২২] ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য ও ধ্রুপদি নৃত্যশৈলীগুলির সংমিশ্রণে তিনি এক নতুন শৈলীর প্রবর্তন করেন।[১২২] এই শৈলীটি "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত।[১২২] রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যগুলিতে গানের পাশাপাশি নাচও অপরিহার্য।[১২২] বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী উদয় শংকর যে আধুনিক ভারতীয় নৃত্যধারার প্রবর্তন করেছিলেন, তার পিছনেও রবীন্দ্রনাথের প্রেরণা ছিল।[১২২]
চিত্রকলা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত ছবি আঁকা শুরু করেন প্রায় সত্তর বছর বয়সে।[১৩] চিত্রাঙ্কনে কোনো প্রথাগত শিক্ষা তাঁর ছিল না।[১৩] প্রথমদিকে তিনি লেখার হিজিবিজি কাটাকুটিগুলিকে একটি চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।[১৩] এই প্রচেষ্টা থেকেই তাঁর ছবি আঁকার সূত্রপাত ঘটে।[১৩] ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ কালপরিধিতে অঙ্কিত তাঁর স্কেচ ও ছবির সংখ্যা আড়াই হাজারের ওপর, যার ১৫৭৪টি শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে।[১৫৭] দক্ষিণ ফ্রান্সেরশিল্পীদের উৎসাহে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে।[১৫৮] এরপর সমগ্র ইউরোপেই কবির একাধিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।[১৩] ছবিতে রং ও রেখার সাহায্যে রবীন্দ্রনাথ সংকেতের ব্যবহার করতেন।[১৩] রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য চিত্রকলার পুনরুত্থানে আগ্রহী হলেও, তাঁর নিজের ছবিতে আধুনিক বিমূর্তধর্মিতাই বেশি প্রস্ফুটিত হয়েছে। মূলত কালি-কলমে আঁকা স্কেচ, জলরং ও দেশজ রঙের ব্যবহার করে তিনি ছবি আঁকতেন।[১৩] তাঁর ছবিতে দেখা যায় মানুষের মুখের স্কেচ, অনির্ণেয় প্রাণীর আদল, নিসর্গদৃশ্য, ফুল, পাখি ইত্যাদি। তিনি নিজের প্রতিকৃতিও এঁকেছেন।[১৩] নন্দনতাত্ত্বিক ও বর্ণ পরিকল্পনার দিক থেকে তাঁর চিত্রকলা বেশ অদ্ভুত ধরণেরই বলে মনে হয়।[১৩] তবে তিনি একাধিক অঙ্কনশৈলী রপ্ত করেছিলেন।[১৩] তন্মধ্যে, কয়েকটি শৈলী হল- নিউ আয়ারল্যান্ডের হস্তশিল্প, কানাডার (ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশ) পশ্চিম উপকূলের "হাইদা" খোদাইশিল্প ও ম্যাক্স পেকস্টাইনের কাঠখোদাই শিল্প।[১৪০]
রাজনৈতিক মতাদর্শ ও শিক্ষাচিন্তা
মূল নিবন্ধ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক মতাদর্শ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত জটিল। তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন করতেন।[১৫৯][১৬০][১৬১] ১৮৯০ সালে প্রকাশিত মানসী কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়।[১৬২] হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলার তথ্যপ্রমাণ এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ গদর ষড়যন্ত্রের কথা শুধু জানতেনই না, বরং উক্ত ষড়যন্ত্রে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তেরাউচি মাসাতাকি ও প্রাক্তন প্রিমিয়ার ওকুমা শিগেনোবুর সাহায্যও প্রার্থনা করেছিলেন।[১৬৩] আবার ১৯২৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে স্বদেশী আন্দোলনকে "চরকা-সংস্কৃতি" বলে বিদ্রুপ করে রবীন্দ্রনাথ কঠোর ভাষায় তার বিরোধিতা করেন।[১৬৪] ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁর চোখে ছিল "আমাদের সামাজিক সমস্যাগুলির রাজনৈতিক উপসর্গ"। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বৃহত্তর জনসাধারণের স্বনির্ভরতা ও বৌদ্ধিক উন্নতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। ভারতবাসীকে অন্ধ বিপ্লবের পন্থা ত্যাগ করে দৃঢ় ও প্রগতিশীল শিক্ষার পন্থাটিকে গ্রহণ করার আহ্বান জানান রবীন্দ্রনাথ।[১৬৫][১৬৬]
রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের মতাদর্শ অনেককেই বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ১৯১৬ সালের শেষ দিকে সানফ্রান্সিসকোয় একটি হোটেলে অবস্থানকালে একদল চরমপন্থী বিপ্লবী রবীন্দ্রনাথকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ উপস্থিত হওয়ায় তাঁদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল।[১৬৭] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি নাইটহুড বর্জন করেন।[১৬৮] নাইটহুড প্রত্যাখ্যান-পত্রে লর্ড চেমসফোর্ডকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "আমার এই প্রতিবাদ আমার আতঙ্কিত দেশবাসীর মৌনযন্ত্রণার অভিব্যক্তি।" রবীন্দ্রনাথের "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য" ও "একলা চলো রে" রাজনৈতিক রচনা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। "একলা চলো রে" গানটি গান্ধীজির বিশেষ প্রিয় ছিল।[১৬৯] যদিও মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল অম্লমধুর। হিন্দু নিম্নবর্ণীয় জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গান্ধীজি ও আম্বেডকরের যে মতবিরোধের সূত্রপাত হয়, তা নিরসনেও রবীন্দ্রনাথ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ফলে গান্ধীজিও তাঁর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।[১৭০][১৭১]
রবীন্দ্রনাথ তাঁর "তোতা-কাহিনী" গল্পে বিদ্যালয়ের মুখস্ত-সর্বস্ব শিক্ষাকে প্রতি তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছিলেন, দেশের ছাত্রসমাজকে খাঁচাবদ্ধ পাখিটির মতো শুকনো বিদ্যা গিলিয়ে কিভাবে তাদের বৌদ্ধিক মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।[১৭২][১৭৩] ১৯১৭ সালের ১১ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা বারবারা ভ্রমণের সময় রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা সম্পর্কে প্রথাবিরুদ্ধ চিন্তাভাবনা শুরু করেন। শান্তিনিকেতন আশ্রমকে দেশ ও ভূগোলের গণ্ডীর বাইরে বের করে ভারত ও বিশ্বকে একসূত্রে বেঁধে একটি বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও এই সময়েই গ্রহণ করেছিলেন কবি।[১৬৭] ১৯১৮ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্বভারতীη[›] নামাঙ্কিত তাঁর এই বিদ্যালয়ের শিলান্যাস করা হয়েছিল। এরপর ১৯২২ সালের ২২ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল এই বিদ্যালয়ের।[১৭৪] বিশ্বভারতীতে কবি সনাতন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার ব্রহ্মচর্য ও গুরুপ্রথার পুনর্প্রবর্তন করেছিলেন। এই বিদ্যালয়ের জন্য অর্থসংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ তিনি ঢেলে দিয়েছিলেন এই বিদ্যালয়ের পরিচালন খাতে।[১৭৫] নিজেও শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক হিসেবেও অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন তিনি। সকালে ছাত্রদের ক্লাস নিতেন এবং বিকেল ও সন্ধ্যায় তাদের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা করতেন।[১৭৬] ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি একাধিকবার ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণ করেন।[১৭৭]
প্রভাব
বিংশ শতাব্দীর বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা দার্শনিক অমর্ত্য সেন রবীন্দ্রনাথকে এক "হিমালয়প্রতিম ব্যক্তিত্ব" ও "গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক ও বহুমাত্রিক সমসাময়িক দার্শনিক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[১৭৮] বত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলীবাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হয়। রবীন্দ্রনাথকে "ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি" হিসেবেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে।[১৭৯]রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী "পঁচিশে বৈশাখ" ও প্রয়াণবার্ষিকী "বাইশে শ্রাবণ" আজও বাঙালি সমাজে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। এই উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, শান্তিনিকেতন আশ্রম ও শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে প্রচুর জনসমাগম হয়। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ-প্রবর্তিত ধর্মীয় ও ঋতুউৎসবগুলির মাধ্যমেও তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদনের রীতি অক্ষুন্ন আছে। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে ও অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া বা রবীন্দ্ররচনা পাঠের রেওয়াজও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এগুলি ছাড়াও কবির সম্মানে আরও কতকগুলি বিশেষ ও অভিনব অনুষ্ঠান পালন করা হয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের আরবানাতে আয়োজিত বার্ষিক "রবীন্দ্র উৎসব", কলকাতা-শান্তিনিকেতন তীর্থ-পদযাত্রা "রবীন্দ্র পথপরিক্রমা" ইত্যাদি।[১০৩][১৭৮][১৮০]
জীবদ্দশাতেই ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও পূর্ব এশিয়ায় প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ইংল্যান্ডে ডার্টিংটন হল স্কুল নামে একটি প্রগতিশীল সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি।[১৮১] অনেজ জাপানি সাহিত্যিককে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[১৮২] রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থাবলি অনূদিত হয় ইংরেজি, ওলন্দাজ, জার্মান, স্প্যানিশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। চেক ভারততত্ত্ববিদ ভিনসেন্স লেনসি সহ একাধিক ইউরোপীয় ভাষায় তাঁর গ্রন্থ অনুবাদ করেন।[১৮৩] ফরাসি নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আন্দ্রে জিদ্, রাশিয়ান কবি আনা আখমাতোভা [১৮৪], প্রাক্তন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত একেভিত[১৮৫], মার্কিন ঔপন্যাসিক জোনা গেইল সহ অনেকেই অনুপ্রেরণা লাভ করেন রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকে। ১৯১৬-১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া তাঁর ভাষণগুলি বিশেষ জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা পায়। তবে কয়েকটি বিতর্ককে কেন্দ্র করে ১৯২০-এর দশকের শেষদিকে জাপান ও উত্তর আমেরিকায় তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কালক্রমে বাংলার বাইরে রবীন্দ্রনাথ "প্রায় অস্তমিত" হয়ে পড়েছিলেন।[১৮৬]
চিলিয়ান সাহিত্যিক পাবলো নেরুদা ও গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, মেক্সিকান লেখক অক্টাভিও পাজ ও স্প্যানিশ লেখক হোসে অরতেগা ওয়াই গ্যাসেৎ, থেনোবিয়া কামপ্রুবি আইমার, ও হুয়ান রামোন হিমেনেথ প্রমুখ স্প্যানিশ-ভাষী সাহিত্যিকদেরও অনুবাদের সূত্রে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৪ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে হিমেনেথ-কামপ্রুবি দম্পতি রবীন্দ্রনাথের বাইশটি বই ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করেছিলেন। দ্য ক্রেসেন্ট মুন (শিশু ভোলানাথ) সহ রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু রচনার বিস্তারিত পর্যালোচনা ও স্প্যানিশ সংস্করণ প্রকাশও করেছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, এই সময়েই হিমেনেথ "নগ্ন কবিতা" (স্প্যানিশ: «poesía desnuda») নামে এক বিশেষ সাহিত্যশৈলীর উদ্ভাবন ঘটান।[১৮৭]
রবীন্দ্রনাথের মূল বাংলা কবিতা পড়েননি এমন বহু পাশ্চাত্য সাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব অস্বীকারও করেছিলেন। গ্রাহাম গ্রিনসন্দিগ্ধচিত্তে মন্তব্য করেছিলেন, "ইয়েটস সাহেব ছাড়া আর কেউই রবীন্দ্রনাথের লেখাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন না।"[১৮৬] রবীন্দ্রনাথের সম্মানের কিছু পুরনো লাতিন আমেরিকান খণ্ডাংশ সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। নিকারাগুয়া ভ্রমণের সময় সালমান রুশদি এই জাতীয় কিছু উদাহরণ দেখে অবাক হন।[১৮৮]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামাঙ্কিত স্মারক ও দ্রষ্টব্যস্থল
| বাংলা ভাষার উইকিসংকলনেএই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
| ইংরেজি ভাষার উইকিসংকলনেএই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: |
| উইকিমিডিয়া কমন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন।
- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বীরভূম — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন।
- শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি কুঠিবাড়ি। [১৮৯]
- রবীন্দ্র পুরস্কার — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার — ভারত সরকার প্রদত্ত একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
- রবীন্দ্রসদন — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত কলকাতার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কার্যালয়।
- রবীন্দ্র সেতু — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত হাওড়া ও কলকাতা শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতু।
- রবীন্দ্র সরোবর, কলকাতা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত ভারতের একটি জাতীয় হ্রদ। এটি কলকাতার বৃহত্তম হ্রদ।[১৯০]
- রবীন্দ্রনাথ সড়ক, যশোর, বাংলাদেশ । 'মনিহার' সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তার (চার রাস্তা) মোড় এর মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা ।
পাদটীকা
- ^ ক: তাঁর প্রথম রচনা, "মীনগণ দীন হয়ে ছিল সরোবরে / এখন তাহারা সুখে জলে ক্রীড়া করে।"
- ^ খ: রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল ৬ নং দ্বারকানাথ লেনের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির মূল বাসভবনে। এই বাড়িতেই বাস করতেন ঠাকুর পরিবারের জোড়াসাঁকো শাখাটি। পারিবারিক বিবাদের কারণে এই শাখাটি মূল পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জোড়াসাঁকো বর্তমানে উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণির (তৎকালীন চিৎপুর রোড) নিকটস্থ।[১৯১]
Subscribe to:
Comments (Atom)

